নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আয়োজনে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ঘন্টাকালব্যাপি এই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।
মানববন্ধন থেকে সরকারী দলের দুর্বৃত্তদের হাতে সিলেটের এমসি কলেজ চত্বরে নববধুর সম্ভ্রমহানি এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধুর উপর নারকীয় বিভৎসতাসহ দেশব্যাপি অব্যাহত নারী ও শিশুর উপর ঘৃন্য সহিংতার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়।
রাজশাহী মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহবায়ক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজাশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসন বুলবুল।
প্রধান অতিথি বুলবুল বলেন, এই সরকারের আমলে নারী শিশু নিরাপদ নয়। প্রতিদিন দেশের কোন না কোন স্থানে নারী ও শিশু ধর্ষিত হচ্ছে। আর এর সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। তিনি বলেন, দেশে ছয় মাস থেকে বৃদ্ধ নারী পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে। সরকারের দোসর ও প্রধানমন্ত্রীর সব থেকে প্রানপ্রিয় সংগঠন এবং আস্থাভাজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা কেউ। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতিকারী নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত দেশে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে গেলেও প্রধানমন্ত্রী নিরব থাকেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাফিকুল ইসলাম শাফিক, জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব প্রফেসর সেলিম আরিফ আই.বি.এ, রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষা ফোরামের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য প্রফেসর ড. মাসুদুল হাসান খান মুক্তা, রাজশাহী বারের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহেদী ও জাসাস রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা।
আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, বর্তমান সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, সিনিয়ির সহ-সভাপতি সামসুল হক মিনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ বীন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাাদক আনন্দ কুমার, মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি আরিফুল শেখ বনি, মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, অধ্যাপিকা সখিনা খাতুন, মুসলেমা বেলী, গুলশান আরা মমতা, জান্নাতুল ফেরদৌস, রোজি ও জরিনা, মহানগর শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুর্তুজা ফামিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি সহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী।
২০১৮ সালের থেকে ২০১৯ সালে ধর্ষনের সংখ্যা দ্বিগুন ছিলো। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির তথ্য মতে চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে আগষ্ট পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে তারা এই ধর্ষন ও হত্যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরী করেন। সেখানে চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত ৯৮২টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এরমধ্যে ৪১ জন ধর্ষনের পর আহত হয়ে মারা যায়, আর ৯জন আত্মহত্যা করে। এই সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর শাস্তির দাবী জানান সভাপতি।