শনিবার ১লা এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১৮ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

২০৪১ সালে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ হবে পুরুষের সমান : প্রধানমন্ত্রী

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজশাহী নিউজ টুডে ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সাল নাগাদ কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের সমান হবে। অর্থাৎ ৫০-৫০ এ উন্নীত হবে। একইসঙ্গে নারীর সমতা, ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অঙ্গীকার নবায়ন ও প্রচেষ্টা জোরদারেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে উচ্চপর্যায়ের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনটি বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে বিশ্ব সরবরাহ চেইনসহ অন্যান্য বৃহৎ কর্মক্ষেত্রে অভিবাসী শ্রমিকসহ নারী কর্মীদের অবশ্যই রক্ষা করতে হবে যেন তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে ফোর্থ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অন উইমেনের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 

অন্য দুটি বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই বলেন, প্রতিটি মেয়ের কাছ থেকে বিশ্ব উপকৃত হতে পারে, যার সম্ভাবনা ইতিমধ্যে উপলদ্ধি করা গেছে। প্রতিটি নারী যাদের মেধা অবিকশিত এবং কেবল শিক্ষার মাধ্যমেই এর বিকাশ ঘটানো সম্ভব। দ্বিতীয়ত তিনি বলেন, আয় এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমেই ক্ষমতায়ন সৃষ্টি হয়। তাই আয়বর্ধক কর্মকান্ডে নারীদের সম্পৃক্ত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফোর্থ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অন উইমেন এর ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত।

Bangladesh Pratidin

ঢাকা, শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০

 

ই-পেপার

আজকের পত্রিকা

ফ্রাইডে

facebook

ইউএসএ এডিশন

ইউরোপ এডিশন

Youtube

শিরোনাম

Headline Bulletবেনামি নালিশ নিয়ে পুলিশে আতঙ্ক

Headline Bulletহারের হ্যাটট্রিক ধোনির সুপার কিংসের

Headline Bulletবেনামি নালিশ নিয়ে পুলিশে আতঙ্ক

Headline Bulletহারের হ্যাটট্রিক ধোনির সুপার কিংসের

Headline Bulletবেনামি নালিশ নিয়ে পুলিশে আতঙ্ক

Headline Bulletহারের হ্যাটট্রিক ধোনির সুপার কিংসের

 

হোম / প্রথম পাতা/ ২০৪১ সালে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ হবে পুরুষের সমান : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা প্রিন্ট ভার্সনআপলোড : ২ অক্টোবর, ২০২০ ২৩:২৬

২০৪১ সালে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ হবে পুরুষের সমান : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

২০৪১ সালে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ হবে পুরুষের সমান : প্রধানমন্ত্রী

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সাল নাগাদ কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের সমান হবে। অর্থাৎ ৫০-৫০ এ উন্নীত হবে। একইসঙ্গে নারীর সমতা, ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অঙ্গীকার নবায়ন ও প্রচেষ্টা জোরদারেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে উচ্চপর্যায়ের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনটি বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি এ আহ্বান জানান।

 

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে বিশ্ব সরবরাহ চেইনসহ অন্যান্য বৃহৎ কর্মক্ষেত্রে অভিবাসী শ্রমিকসহ নারী কর্মীদের অবশ্যই রক্ষা করতে হবে যেন তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে ফোর্থ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অন উইমেনের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 

অন্য দুটি বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই বলেন, প্রতিটি মেয়ের কাছ থেকে বিশ্ব উপকৃত হতে পারে, যার সম্ভাবনা ইতিমধ্যে উপলদ্ধি করা গেছে। প্রতিটি নারী যাদের মেধা অবিকশিত এবং কেবল শিক্ষার মাধ্যমেই এর বিকাশ ঘটানো সম্ভব। দ্বিতীয়ত তিনি বলেন, আয় এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমেই ক্ষমতায়ন সৃষ্টি হয়। তাই আয়বর্ধক কর্মকান্ডে নারীদের সম্পৃক্ত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফোর্থ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অন উইমেন এর ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত।

তিনি বলেন, ২৫তম এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি ২০৪১ সাল নাগাদ কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০-৫০ এ উন্নীত করার অঙ্গীকার করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ মহামারী বিশেষ করে নারীদের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, মহামারীর এই সময়ে নারীরা বৈষম্য এবং বেড়ে যাওয়া পারিবারিক সহিংতার শিকার হচ্ছে। এ কারণে নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের কষ্টার্জিত অর্জন হুমকির মুখে।

শেখ হাসিনা বলেন, জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে ১৯৯৫ সালের বেইজিং ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্লাটফর্ম ফর অ্যাকশন একটি বড় ধরনের রোডম্যাপ তৈরি করেছে। এটি নারীর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপকভাবে বদলে দিয়েছে এবং ইতিবাচক উন্নয়নের অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন থেকে প্রায় সব দেশ নারী ও মেয়েদের সুরক্ষায় আইনি কাঠামো গঠন করে। ২০৩০ এজেন্ডাও সব লক্ষ্যে নারীর ক্ষমতায়নকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যেহেতু ডিকেড অব অ্যাকশনে প্রবেশ করেছি, তাই আমাদের অবশ্যই প্রতিশ্রুতি নবায়ন করতে হবে এবং নারী-পুরুষের সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ে নারী প্রতিনিধিদের অগ্রাধিকার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা সব পর্যায়েই এমনটা দেখতে চাই।

 

’ নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে নারীদের বসিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দেশে নারী-পুরুষ সমঅধিকারভিত্তিক একটি সংবিধান নিশ্চিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়ন কর্মকান্ডে নারীদের বাস্তবসম্মত প্রয়োজন পূরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আমাদের এই উন্নয়নে সমাজের সব স্তরের সব ধরনের মানুষকে অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, এ জন্যই আমরা শিক্ষার পাশাপাশি নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা নারীদের আমাদের উন্নয়নের সক্রিয় কর্মী হিসেবে বিবেচনা করি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার ২০১১ সালে একটি প্রগতিশীল নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০টিতে উন্নীত করা হয়েছে। সংসদ নেতা, সংসদীয় উপনেতা, বিরোধীদলীয় নেত্রী ও স্পিকার নারী। শেখ হাসিনা বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় ৩০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। জনসেবাতে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর জন্য বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে। নারীরা এখন উচ্চ আদালতের বিচারক, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আরও অনেক কিছু হয়ে উঠছেন। জেন্ডার বাজেটিং, মাইক্রো ফাইন্যান্স এবং অনুরূপ উদ্যোগগুলো মহিলাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে সরকারের বিনিয়োগ নারী সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনছে। আজ ২ কোটি নারী কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে নিয়োজিত এবং ৩৫ লাখেরও বেশি নারী তৈরি পোশাক খাতে কাজ করছেন, যা আমাদের বৃহত্তম রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্র। শেখ হাসিনা বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার নারী সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের নারীরা বাধা ভাঙছে এবং পেশায় সফল হচ্ছেন যা আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম কখনই কল্পনা করতে পারত না। নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী অনেক প্রশংসা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স অনুসারে, আমরা নারীদের সামগ্রিক ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছি। ১৪৯টি দেশের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পঞ্চম স্থানে এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ণে সপ্তম স্থানে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে : তথ্যমন্ত্রী

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনঅনলাইন   আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। অব্যাহতভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে,

মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি ভিসার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনঅনলাইন বাংলাদেশে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে মালদ্বীপ সরকার। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.

দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন অনলাইন একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত স্বল্পোন্নত দেশ থেকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল দেশে উত্তরণের অভিযাত্রায় প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ

আইওসিইন্ডিও সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত বাংলাদেশ

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনঅনলাইন আইওসি রিজিওনাল কমিটি ফর দি সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান ওশেন (আইওসিইন্ডিও)-এর সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বর্তমান সভাপতি হিসেবে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে সিইসির নির্দেশ

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনঅনলাইন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি নির্বাচনের সব

স্বল্পোন্নত থেকে টেকসইয়ে উত্তরণে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ইইউ

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনঅনলাইন স্বল্পোন্নত থেকে মসৃণ ও টেকসই উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল