অনলাইন ডেস্ক:
মোবাইল ফোনে সম্পর্ক স্থাপন করে তরুণীর আপত্তিকর ছবি ধারণ করে পরে তা দেখিয়ে প্রতারণা এবং টাকা দাবি করে আসছিল আবির নামে এক যুবক। এক তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে খিলক্ষেত থানা পুলিশ ৭ অক্টোবর তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, একাধিক তরুণীর কাছ থেকে একই ভাবে সে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে।
খিলক্ষেত থানা পুলিশ জানায়, ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করে আবির। একপর্যায়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে। দু’জনের মধ্যে নিয়মিত চ্যাটিং হতো। প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে ওই তরুণী আবেগপ্রবণ হয়ে আপত্তিকর ভিডিও চ্যাট করে। আবির সেই ভিডিও চ্যাট গোপনে নিজের মোবাইলে সেভ করে রাখে। বেশ কিছুদিন পরে অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন অপবাদ দিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় আবির।
হঠাৎ ৩ অক্টোবর ভিকটিমের হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিকর ছবি (আপত্তিকর ভিডিও চ্যাট) পাঠায় আবির। ভিকটিমের হোয়াটসঅ্যাপে টাকা দাবি করে এবং তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে মানসিক নির্যাতন করে। যদি তাকে টাকা না দেয়া হয় এবং তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক না করে তাহলে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। এরপর ওই তরুণী তার মাকে নিয়ে ৭ অক্টোবর খিলক্ষেত থানায় গিয়ে ওসিকে বিস্তারিত জানান। ওই তরুণী বলতে থাকে, ‘স্যার আমাকে বাঁচান, না হলে আমি আত্মহত্যা করব।’
ওসি তাদেরকে আশ্বস্ত করেন এবং এ বিষয়ে ওই দিনই মামলা রুজু হয়। এরপর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আবিরের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। চতুর আবির ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। এ অবস্থায় এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মিরপুর-১ গোলচত্বর থেকে আবিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আবিরের মেসে গিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে ভিকটিমের আপত্তিকর ছবিসহ ভিডিও ক্লিপ এবং আরও বেশ কয়েকজন মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও জব্দ করে পুলিশ।
খিলক্ষেত থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানান. আবির দীর্ঘদিন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনেক মেয়েকে এভাবে ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে আসছে। আসামি গ্রেফতারসহ ভিকটিমের ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করা হয়েছে।