স্মৃতিচারণ
– তাহারাত জাহান নিশু
বাবা আমার খুবই আপন
ঠিক যেন ঐ তাঁরার মতন।
তাঁরা গুলো আবার নাকি নীল আকাশের সাথী,
বাবাও তেমন বন্ধু পেয়ে আমায় দিল ফাঁকি।
বাবার সেই কথা গুলো ভুলে যাওয়ার নয়,
কারণ তিনি গুরুজন শিক্ষকও তো হয়।
বাবা বলতেন যদি আমি মন দিয়ে পড়ি,
বড় হলে কিনে দিবেন ইয়া বড় গাড়ি।
কোথায় আর বড় হলাম; কই পেলাম গাড়ি!
বাবা পেলেন প্রমশনে সাড়ে তিন হাত বাড়ি।
সবই বাবার মিথ্যে ছিল এখন মনে হয়,
করিডরে বাবার স্মৃতি চুপটি করে রয়।
গ্রীষ্ম কালের গরম হাওয়া বাবা নেই ঘরে,
ঘর থেকে পা বাড়ালেই মায়ের টনক নড়ে!
বর্ষায় যখন চতুর্দিকে পানি ছলছল করে
মনে পরে বাবার স্মৃতি খুব জ্বরের ঘোরে।
শরতের প্রভাতে তৃণ পল্লবে যখন শিশিরের আগমন,
বাবা যেন শুনছে সবই চুপিসারে এ আলাপন।
হেমন্তের ধূসর আকাশ জানলায় বসে ভাবি
বাবা হয়তো এসেছিল কেবল দিতে আমায় ফাঁকি।
শীতে যখন কাঁপছি ঘরে বাবা তখন একা,
মনের মধ্যে বাবার জন্যে লাগে ভীষণ ব্যাথা!
বসন্তের ঐ আগমনে ফুলেদের হৈচৈ,
উৎসব মুখর পরিবেশে আমার বাবা কই!
দিন শেষে যখন দেখি বাবা নেই ঘরে,
মন বলে এই চিঠি খানা পাঠাবো তাঁর তরে।
রানার নেই বাহক নেই এখন কি উপায়!
চোখের কোণে বাবার জন্যে পানি জমে যায়।
হঠাৎই যখন কথাগুলি পরে যায় মনে,
কষ্ট ভরা মন ভাঙ্গে আর দুঃখ মনের কোণে!
এসব ছিল অতীত কেবল,
স্বপ্ন কিন্তু নয়।
বাবা এখন দূর আকাশের তাঁরার বন্ধু হয়!
নাম : মোছা : তাহারাত জাহান (নিশু)।
ঠিকানা : কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর।
শ্রেণি: দ্বাদশ।