নিজস্ব প্রতিবেদক:
তখন সকাল সাতটা হবে। একাই এলাকায় ঘোরা ফেরা। উদ্দ্যেশ হলো এলাকার হাল-চাল নিজ চোখে দেখা। তাই সকাল সকাল মানুষের বাড়ি বাড়ি হাজির হন তিনি। বলছিলাম রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন‘র কথা। তিনি সাত সকালে পাড়া-পাড়া ঘুরে দেখছেন ওয়ার্ডবাসীর কার কি সমস্যা। এমন কর্মকাণ্ডে কুরিয়েছেন ওয়ার্ডর প্রশংসাও।
আজ শুক্রবার এটিই প্রথম দিন নয়। নির্বাচনে জয় লাভের পর থেকেই তিনি এমনটি করে আসছেন বলে স্থানীয়রা জানায়। তারা জানায়, ওয়ার্ডবাসীর বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন তিনি। সম্বভ হলে সেখানেই সমাধান করে দেন। তিনি ওয়ার্ডবাসীর বিভিন্ন সমস্যা ও চাওয়া-পাওয়ার কথা শোনেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে।
ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, কাউন্সিলর সুমন ভাই সারাদিন অনেক ব্যস্ত থাকেন। তাকে অনেক সময় কার্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়না। পাওয়া গেলেও তার (সুমন) সাথে অনেক মানুষ বসে থাকেন। তাই মন খুলে কথা বলা যায় না। তিনি যখন সকলে ওয়ার্ডের বিভিন্ন সমস্যার খবর নিতে আসেন, তখন অনেকেই মন খুলে কথা বলার সুযোগ পান। এটি কাউন্সিলর সুমনের অনেক বড় গুন। অনেকেই কাউন্সিলর হওয়ার পরে তাদের আর পাত্তা থাকে না। কিন্তু কাউন্সিলর সুমন ওয়ার্ডবাসীর সাথে উঠাবসা করেন, তাদের সুঃখ-সুখের কথা শোনেন।
জানা গেছে, এদিন ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন এলাকার অসুস্থদের খোঁজ খবর নেন। বিভিন্ন সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধান করার লক্ষ্যে সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। এলাকার অসুস্থদের নিজ বাড়িতে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসা ও শারীরিক খোঁজ খবর নেন ও সাহায্য করেন। এছাড়া এলাকার রাস্তা, ড্রেন সচল রাখার জন্য এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। এলাকাবাসীর চাহিদা অনুসারে তাদের সাথে নিয়েই পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দেন কাউন্সিলর সুমন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড সচিব নুরুল ইসলাম ফয়সাল, মনিরুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম,রেজু, সুপার ভাইজার মেরাজসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় কাউন্সিলর সুমন উপিস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য সকলের সমর্থন ও পাশে থাকা প্রয়োজন। অতি শিঘ্রই সকল উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে ৯ কোটি টাকার রাস্তা ও ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যায়ে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। ৯ কোটি প্রাক্কলনে গত ৩০ আগস্ট টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে।
প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ছোটবনগ্রাম বাররাস্তা নতুন বাইপাস সড়ক থেকে পশ্চিমে গাঙ পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন’র নির্দেশে অতি দ্রুত টেন্ডার আহব্বান হচ্ছে। এসকল উন্নয়ন সকলের কাছে দৃশ্যমান হবে বলে কাউন্সিলর অবগত করেন।