নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১৬টি ফ্লাড লাইট স্থাপন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অসত্য দাবি করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন’। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারি আশরাফুল হুদা টিটো বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে তার প্রতিষ্ঠান বড় বড় বৈদ্যুতিক কাজ করে আসছে। সে অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে রাসিকের ১৬টি ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজ পান। কিন্তু কাজটি পাওয়ার পর থেকেই তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক (বর্তমানে স্বেচ্ছায় অবসরপ্রাপ্ত) নানা অজুহাতে তার কাছ থেকে টাকা আদায় করতে শুরু করেন। এক সময় তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এরপর কাজটি শেষ হওয়ার পর বেনামে অভিযোগ হতে শুরু করে। এতে তার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, ফ্লাডলাইট স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার কোন সময় কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যে দামে মালামাল সরবরাহ করেছে সেই একই মালামাল তিনি কম মূল্যে দিয়েছেন বলেও দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদার আশরাফুল হুদা টিটো বিভিন্ন নথিপত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নানা অনিয়মের কারণে প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
এখন বাস্তবায়িত প্রকল্পটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তিনি উঠেপড়ে লেগেছেন।অভিযোগের বিষয় নিয়ে কথা বলতে রাসিকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হককে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তাই এ ব্যাপারে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ১০ মাস আগে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৬ মিটার উচ্চতার ১৬টি হাই মাস্ট পোল স্থাপন করে রাসিক। এতে হাই ভোল্টেজ এলইডি লাইট সংযোজন করা হয়। এই কাজেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাসিকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়েছে। তারপর দুদক বলেছে, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে সংবাদ সম্মেলন করে ঠিকাদার দাবি করলেন কাজে কোন দুর্নীতি হয়নি।#