অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ‘অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে- সরকার ও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সদিচ্ছা সত্ত্বেও একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তৎপর রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশাকে কৌশলে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে গোষ্ঠী ও দলগত হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে পায়তারা করছে তারা।’
‘তাই দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে এবং উন্নয়নের চলমান ধারাকে অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রবিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ড সতর্কভাবে পরিহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সবিশেষ অনুরোধ করা হল।’ আজ শনিবার দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় এক বিবৃতিতে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলো নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মতো কয়েকটি জঘন্য ও ঘৃণ্য অপরাধের প্রেক্ষিতে যুব সমাজের মধ্যে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সামগ্রিক চলমান বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। দেশের সামাজিক শৃঙ্খলা ও শান্তি নিশ্চিতকল্পে ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
এতে বলা হয়, সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে প্রতিটি মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করছে পুলিশ। সম্ভবপর দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এসব মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে বিচারের জন্য তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- আদালতের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব ঘৃণ্য অপরাধীর যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার জনাকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরকারও দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শাস্তি প্রত্যাশা করে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তীক্ষ্ণ নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।