রাজশাহী নিউজ টুডে ডেস্ক:
কে হবেন ইউরোপের সেরা ফুটবলার? এই প্রসঙ্গে এ বছর আগের মতো আর উত্তেজনা ছিল না। এক সময় এ পুরস্কার ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গত বছর সে ধারায় বাধ দিয়েছেন ভার্জিল ফন ডাইক। তবু মেসি-রোনালদো সেরা তিনে থাকায় এ নিয়ে উত্তেজনা ছিল।
এবার সেরা তিনেই জায়গা পাননি মেসি-রোনালদো। এ নিয়ে তাই ভক্তদের মধ্যে বিজয়ী কে, সেটা জানার আগ্রহ থাকলেও বাড়তি উত্তেজনা ছিল না। সে তুলনায় জেনেভার চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে কে কাকে পাচ্ছে তা নিয়েই বেশি আগ্রহ ছিল।
এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় পটে ছিল বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, চেলসি, আতলেতিকো মাদ্রিদ ও আয়াক্সের মতো দল। তৃতীয় পটে ছিল লাইপজিগ, ইন্টার মিলান, লাৎসিও ও আতালান্তা। শেষ পটে থাকা রেনে, মার্শেই, ব্রুগা কিংবা মনশেনগ্লাডবাখও যেকোনো পরাশক্তিকে বিপদে ফেলার শক্তি রাখে। ফলে বেশ কয়েকটি ‘গ্রুপ অব ডেথ’ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ভালোভাবেই ছিল।
কঠিন গ্রুপটা নেইমারদের কপালেই পড়েছে। গ্রুপ এইচে তাঁদের সঙ্গে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে লাইপজিগও যোগ হয়েছে। গতবার সেমিফাইনালে এই লাইপজিগকেই হারিয়েছিল পিএসজি। সহজতম গ্রুপ পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডও তুলনামূলক সহজ গ্রুপ পেয়েছে। তবে সবচেয়ে আগ্রহ জন্মিয়েছে গ্রুপ জি। কারণ এই গ্রুপেই পড়েছে জুভেন্টাস ও বার্সেলোনা। দুই দল গ্রুপেই মুখোমুখি হওয়ায় ২০১১ সালের পর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসি-রোনালদোকে এক মাঠে দেখা যাবে।
পুরস্কারে ছিল বায়ার্ন মিউনিখের জয়জয়কার। সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন মানুয়েল নয়্যার, সেরা ডিফেন্ডার হয়েছেন ইয়োসুয়া কিমিখ, সেরা ফরোয়ার্ডও রবার্ট লেভানডফস্কি। তবে মিডফিল্ডে একটু ভিন্নতা এনেছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। ম্যানচেস্টার সিটির এই তারকা কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়লেও সেরা মিডফিল্ডার হয়েছেন। সেরা কোচ বায়ার্ন মিউনিখেরই হানসি ফ্লিক। আর সেরা ফুটবলার অনুমিতভাবেই লেভানডফস্কি।