অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে সব ধরনের বোন ম্যারো (অস্থি মজ্জা) ট্রান্সপ্ল্যান্ট রোগীদেরকে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা সেবা প্রদানের দাবি জানিয়েছে রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতাল।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, অপেক্ষাকৃত কম খরচে অত্যাধুনিক চিকিৎসাসামগ্রী সুবিধা ব্যবহার করে এবং দক্ষ মেডিকেল স্টাফ দ্বারা সাশ্রয়ী খরচে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৫ সালে ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ এভারকেয়ার হাসপাতালে (পূর্বে অ্যাপোলো হাসপাতালে) যোগ দেন। এর আগে তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে বিশ্ববিখ্যাত কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে দীর্ঘ ১০ বছর কর্মরত ছিলেন এবং সবধরনের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা বিএমটি নিয়ে বিপুল অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
২০১৬ সালে, সীমিত রিসোর্স নিয়ে ডা. সালেহ অটোলেগাস টাইপের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের ওপর ফোকাস করে একটি মাঝারি আকারের হেমাটোলজি ইউনিট তৈরি করেন। ডাক্তার, নার্স ও ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেয়ার পর ২০১৮ সালে এসে একটি পরিপূর্ণ ও সকল আধুনিক সুযোগসুবিধাসম্পন্ন একটি বিএমটি ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অ্যালোজেনিক বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু হয়।
অতিসম্প্রতি, কেমোথেরাপির পাশাপাশি টোটাল বডি রেডিয়েশন যা টিবিআই নামে পরিচিত তা সংযোজিত হয়- এটি বাংলাদেশে এই প্রথম। টিবিআই সংযোজনের মাধ্যমে এভারকেয়ার হাসপাতাল সব ধরনের বিএমটি করার সক্ষমতা অর্জন করেছে যা সারাদেশের জন্য একটি বিশেষ মাইলফলক।
গত ১ সেপ্টেম্বর এ প্রযুক্তি একজন লিম্ফোমা রোগীর জন্য ব্যবহার করে হয়েছে। হাসপাতালটি লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা ও অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ার জন্য অ্যালোজেনিক বিএমটি পরিচালনা করছে; পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্যও সুযোগ সৃষ্টি করছে। ইতিমধ্যে দুজন বিদেশি রোগীসহ ২০ জনের অধিক রোগীর বিএমটি সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়াও হাসপাতালটিতে উন্নতমানের ফ্লোসিটোমেট্রি, ইমিউনোহিস্টোকেমিস্ট্রি , পিইটিস্ক্যান, প্লাজমাএক্সচেঞ্জ ও আধুনিক ব্লাডব্যাংক সেবাও দিয়ে থাকে।
এই চিকিৎসাগুলো বাংলাদেশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোর খরচের সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী। এখানে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়েও সব বিএমটি ও লিউকেমিয়া সেবা চালু আছে।