এখন প্রায় সারাবছরই বেগুনের চাষ হয়। বেগুন একদিকে যেমন পুষ্টিকর খাবার অন্যদিকে এটি চাষ করে খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায়। তবে বেগুন চাষ করতে গিয়ে কিছু পোকার আক্রমণে চাষিদের সমস্যায় পড়তে হয়। বেগুন গাছ পোকায় আক্রমণ করলে সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম হলো সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা।
বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার বৈশিষ্ট্য ও ক্ষতির ধরণ হলো এরা ডগা ও বেগুন ছিদ্র করে। এ পোকার কীড়া বেগুনের ভিতরের অংশ খেয়ে থাকে এবং আক্রান্ত বেগুন মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অন্যদিকে বাজারজাতকরণ সম্ভব হয় না।
ডিম থেকে সদ্য বের হওয়া কীড়া ফল অথবা কচি ডগায় ছিদ্র করে প্রবেশ করে।
অন্যদিকে শীতকালে এ পোকার আক্রমণের হার কম থাকে। সেহেতু এ পোকা দমনের ব্যবস্থাপনাও ঋতুভেদে ভিন্নতর হওয়া বাঞ্চনীয়। গ্রীষ্মকালে সপ্তাহে অন্তত একবার পোকা আক্রান্ত ডগা ও ফল বাছাই করে বিনষ্ট করতে হবে। ফেরোমন ফাঁদের ব্যবহারও করা যেতে পারে। চারা লাগানোর ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে। প্রতি ১৫ দিন পর পর উপকারী পোকা, ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিজ ও ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করতে হবে। আইপিএম পদ্ধতির এলাকাভিত্তিক প্রয়োগ করতে হবে।
শীতকালে সপ্তাহে অন্তত একবার পোকা আক্রান্ত ডগা ও ফল বাছাই করে বিনষ্ট করতে হবে। চারা লাগানোর ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে। প্রতি সপ্তাহে একবার করে উপকারী পোকা, ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিজ ও ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করতে হবে। আইপিএম পদ্ধতির এলাকাভিত্তিক প্রয়োগ করতে হবে। এতে করে এই পোকা দমন করা যাবে।