রাজশাহী নিউজ টুডে ডেস্ক:
এবারের আইপিএলের শুরুটা বেশ বাজে ছিল বিরাট কোহলির। যেন খুঁজে ফিরছিলেন নিজেকে। অনুশীলনে কিংবা ম্যাচে, ব্যাটিং করে পাচ্ছিলেন না স্বস্তি। এখন অবশ্য চেনা রূপে ফিরেছেন সময়ের সেরা এই ব্যাটসম্যান। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক জানিয়েছেন, জাসপ্রিত বুমরাহর বিপক্ষে খেলা সুপার ওভার তাকে ফিরিয়েছে কক্ষপথে।
আইপিএলের প্রথম তিন ম্যাচে কোহলির ব্যাট থেকে আসে ১৪, ১ ও ৩ রান। ব্যাটিংয়ে ছিল জড়তা। কোহলি জানান, তখন দায়িত্বের চাপে নুইয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপার ওভারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বুমরাহর বিপক্ষে ব্যাটিং তার সব জড়তা ভেঙে দেয়। সেই ম্যাচে তার বাউন্ডারিতেই জিতেছিল ব্যাঙ্গালোর।
এরপর থেকেই স্বরূপে ভারতীয় অধিনায়ক। পরের তিন ম্যাচে করেন দুটি ফিফটি, অন্যটিতে ৪৩।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে দলের জয়ের নায়ক কোহলি। দলের বিপর্যয়ে চারটি করে চার-ছক্কায় খেলেন ৫২ বলে ৯০ রানের দুর্দান্ত অপরাজিত ইনিংস। ১৭০ রানের লক্ষ্য দিয়ে তারা জেতে ৩৭ রানে। ম্যাচ শেষে ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক জানান, সেই সুপার ওভার বদলে দিয়েছে তাকে।
“এর আগে, আমি অনেক কিছু করতে চেষ্টা করতাম এবং নিজের ওপর অনেক চাপ দিতাম। আমার যেটা করণীয়-বল দেখা ও ব্যাটিং করা, সেটায় মনোযোগ সরিয়ে নিয়েছিলাম। নিজে যে একজন খেলোয়াড়, মাঠে মাঝে মধ্যে সেটা ভুলে যাই আমরা, আর তখনই দায়িত্ব চেপে ধরে।”
“দলের সাফল্যে সবার স্কিলই প্রয়োজন। ওই সুপার ওভার, যেখানে আমাকে প্রতি বলই মারতে হতো, না হয় আমরা হেরে যেতাম, সেটা সত্যিই আমার মানসিকতা বদলে দিয়েছে। এরপর থেকেই আমি ট্রেনিং ও ব্যাটিং উপভোগ করতে শুরু করি।”
সব চাপ দূরে ঠেলে কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেই রানে ফিরেছেন বলে জানান কোহলি।
“এরপরের কয়েকটি সেশন, পরের ম্যাচে আমি ব্যাটিংয়ের দিক থেকে দারুণ করছিলাম। গত ম্যাচেও আমি বল খুব ভালো মারতে পারছিলাম। আজও ঠিক একই কাজ (চাপ না নিয়ে খেলা) করতে চেয়েছি।”
চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালোর নিয়মিত উইকেট হারাচ্ছিল। তবে অবিচল ছিলেন কোহলি। নিজের ব্যাটিং, বোলারদের চমৎকার বোলিংয়ে দলের জয়, সব মিলিয়ে সন্তুষ্ট কোহলি।
“আমার পরিপূর্ণ পারফরম্যান্সগুলোর মধ্যে এটি একটি। আমরা প্রথমভাগে জটিল একটি অবস্থায় ছিলাম। ওই জায়গা থেকে আমরা সামনে এগিয়েছি। এই দুই পয়েন্ট পাওয়া খুবই সন্তুষ্টির। আমাদের পরপর ম্যাচ রয়েছে, তাই ছন্দ তৈরি করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।”