বৃহস্পতিবার ৮ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের প্রশংসায় আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও কূটনীতিকরা

নিউজটি শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক

জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও কূটনীতিকরা। শুক্রবার লন্ডনে এক উচ্চপর্যায়ের আলোচনা সভায় তারা এই প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ হাই কমিশন ও International Maritime Organistion (IMO)-এর যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং আইএমওতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সাইদা মুনা তাসনীমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে আইএমও-এর সেক্রেটারি জেনারেল কিটাক লিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে কমনওয়েলথ-এর সেক্রেটারি জেনারেল পেট্রেসিয়া স্টকল্যান্ড বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে ভারত, জাপান, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সৌদি-আরব এবং সেন্ট কীটস ও নেভিস-এর রাষ্ট্রদূত ও আইএমও-এর স্থায়ী প্রতিনিধিসহ যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিস এবং যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল কমিটি ফর ইউনেস্কোর প্রধান নির্বাহী বক্তব্য রাখেন। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন বলেন, ছেচল্লিশ বছর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলা ভাষায় তার ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেছিলেন। এই ভাষণের মাধ্যমে বহুপাক্ষিক সুসম্পর্ক, বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও প্রগতির কথা তুলে ধরেছিলেন তিনি। যা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিরও মূলভিত্তি।

তিনি আরও বলেন, ছেচল্লিশ বছর পর বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে তখন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য ও দূরদর্শী কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেই পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করেই জাতিসংঘের অন্যতম সদস্য হিসেবে বিশ্বের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

সূচনা বক্তব্যে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ আজও প্রখ্যাত ‘মেঘনা কার্টা’র মতো বাংলাদেশের কূটনৈতিক আদর্শ ও কর্মধারার দিক-নির্দেশনা হয়ে আছে। যার ভিত্তি হচ্ছে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, আর্থিক সমতা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার।

আইএমও-তে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও দূরদর্শী পরিকল্পনায় বাংলাদেশের মেয়েরা আজ বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক জাহাজ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে আইএমও-এর জেন্ডার সমতার লক্ষ্যই পরিপূর্ণ হচ্ছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মহামারির সময়ে সমুদ্রে আটকেপড়া নাবিকদের প্রত্যেককে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে এবং তাদের নিরাপদে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আইএমও-এর সেক্রেটারি জেনারেল কিটাক লিম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বাধীনতা, শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগ করে গেছেন।

কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল পেট্রেসিয়া স্টকল্যান্ড বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন দূরদর্শী ও সফল নেতা ছিলেন। তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন গণতন্ত্র, শান্তি, স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। আর এসবই হচ্ছে কমনওয়েলথের মৌলিক আদর্শ।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল কমিটি ফর ইউনেস্কোর প্রধান নির্বাহী জেমস ব্রিজ বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য পদ লাভের জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত যে অসাধারণ ও সফল কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছিলেন তারই ঐতিহাসিক দলিল হচ্ছে ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে তার এই অনন্য বক্তৃতা।

যুক্তরাজ্যের এফসিডিও-এর দক্ষিণ এশিয়া প্রধান ফারগুস অল্ড ওবিই বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ অর্জন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা এবং এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যেরও বলিষ্ঠ সমর্থন ছিলো। তিনি জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি গৌরবের বিষয় বলে উল্লেখ করেন।

ফারগুস অল্ড বিশ্বের পরিবেশ সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিবেশ পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও সক্ষমতা অর্জন করেছে।

রাষ্ট্রদূত ও আইএমও-এর স্থায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার গায়ত্রি ইসার কাউর, নেদারল্যান্ডের এম্বাসেডর কেরল ভ্যান ওস্টেরম, জাপানের এম্বাসেডর ইয়াসুমাসা নাগামিন, নরওয়ের এম্বাসেডর ওয়েগের স্ট্রমেন, দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনার নমেটেম্বা গুগুলেথু পুডনিক্সিয়া অলিভিয়া ট্যাম্বু, কেনিয়ার হাইকমিশনার সেলেব মানোয়া ইসিপিসু, সেন্ট কীটস্ ও নেভিস-এর হাইকমিশনার ড. লেভম ওসাক, আইএমও-তে সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি ইসাম মো. আলমারি এবং মালয়েশিয়ার ম্যারিটাইম এ্যাটাসী ক্যানাগালিংগম টি সেলভারাসাহ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আইএমও-এর স্থায়ী প্রতিনিধিরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এবং জাতিসংঘে তার ভাষণের ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ শ্রদ্ধা জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

দেশে ১৬.২৭ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে : প্রধানমন্ত্রী

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনদেশে বর্তমানে ১৬ দশমিক ২৭ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বুধবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয়

কুমিল্লায় গরমে অসুস্থ হয়ে ২৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনকুমিল্লার দাউদকান্দিতে গরমে অসুস্থ হয়ে ২৫ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে, চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে ঢাকার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক

বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার

চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনঅনলাইন চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ১৭ হাজার ২৯৯ কোটি ৪৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। সরকারের যেসব মন্ত্রণালয়

১১ হাজার কোটি টাকার ১৮ প্রকল্পে অনুমোদন

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনঅনলাইন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১ হাজার ৩৮৭ দশমিক ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে

%d bloggers like this: