অনলাইন
প্রথম দিনে নিগারের সেঞ্চুরি, আক্ষেপ ফারজানার
ইনিংসের ৪৯তম ওভার শেষ। রূপালী ব্যাংকের নিগার সুলতানা জ্যোতি ৯০ রান এবং ফারজানা হক পিঙ্কি ৯১ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন। জ্যোতি সেঞ্চুরির হাসি হাসলেও তার সতীর্থ ফারজানা হক পিঙ্কি মাঠ ছেড়েছেন ৮ রানের আক্ষেপ নিয়ে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া নারী প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে প্রথম সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন রূপালী ব্যাংকের অধিনায়ক নিগার সুলতানা। নিগার (১০০*) ও ফারজানার (৯২*) ব্যাটে রূপালী ব্যাংক ১৪৮ রানে হারিয়েছে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবকে। রূপালী ব্যাংকের জয়ের নায়ক জ্যোতি।
ফতুল্লায় ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন নারী ক্রিকেট লিগের প্রথম দিন আরও দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেএসপির দুই ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৩২ রানে হারিয়েছে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে এবং বিকেএসপির আরেক মাঠে স্বাগতিক বিকেএসপি ৬৬ রানে সিটি ক্লাব নারী ক্রিকেট দলকে হারিয়েছে।
ফতুল্লায় টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ২৮৬ রান তোলে রুপালী ব্যাংক। অধিনায়ক নিগার মাত্র ৭৬ বলে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ১২ চারে নিজের ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটার। তাছাড়া সতীর্থ ফারজানা ১০৭ বলে ৯২ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭টি চার ও ১টি ছয়ের মার ছিল তার ইনিংসে।
শেষ ওভারে অবশ্য দুই জনের জন্যই ছিল সেঞ্চুরির সুযোগ। শেষ ৬ বলের প্রথম ও তৃতীয়টিতে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক অদল-বদল করেন দুই ব্যাটার। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পর পর দুই চারে ৯৯ রানে পৌঁছে যান অধিনায়ক নিগার সুলতানা। তিনি শেষ বলে সুইপ করে নেন সিঙ্গেল, পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির দেখাও। এই দুই ব্যাটারের আগে রূপালী ব্যাংকের দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সাথী রাণী বর্মণ (৩৯) ও ফারজানা আক্তার লিসা (৪৪)।
গুলশানের হয়ে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন রিয়া আক্তার শিখা ও ইয়ামিন রুপা।
২৮৭ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে গুলশান ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রানে থেমেছে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন লাকি চাকমা। এছাড়া শারমিন সুলতানারা ব্যাট থেকে আসে ৪০ রানের ইনিংস। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেবল শিরিন আক্তার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন (১১)।
রুপালীর ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদা আক্তার, আশরাফি ইয়াসমিন অর্থি ও শরিফা খাতুন। ম্যাচ সেরা হন জ্যোতি।
কলবাগান-মোহামেডান
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে কলাবাগানের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৩৪ রান করে মোহামেডান। ১০৬ বলে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন শারমিন সুপ্তা। ৫৪ রান আসে আয়েশা রহমানের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে ২৭ বলে ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে অবদান রাখেন সালমা খাতুন।
কলাবাগানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেনে ফারিহা তৃষ্ণা। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কুলসুমা ও লাকি খাতুন।
২৩৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল কলাবাগান। ঝিলিকের হাফসেঞ্চুরিতে ওপেনিং জুটিতে আসে ৭৪। সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন ঝিলিক। তাছাড়া প্রত্যুষা কুমার ৩২, ইমানাত ২৮ রান করেছেন। শেষ পর্যন্ত কলাবাগান থামে ৬ উইকেটে ২০২ রান করে।
মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন আয়েশা রহমান। ম্যাচ সেরা হন শারমিন।
বিকেএসপি-সিটি ক্লাব
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে টস জিতে বিকেএসপির নারী দল ৬ উইকেটে ২০৮ রান করে। সর্বোচ্চ ৬৫ রান আসে সুমাইয়া আক্তারের ব্যাট থেকে। এছাড়া উন্নতি আক্তার ৩৫ ও মারুফা আক্তার ৩২ রান করেছেন।
সিটি ক্লাবের হয়ে দিশা বিশ্বাস সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন।
২০৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪২ রানে থামে সিটি ক্লাবের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন ফাতেমা-তুজ-জোহরা। এছাড়া সাবেকুন নাহার চৈতির ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। জান্নাতুল ফেরদাউস ১৬ রান করেছেন। এর বাইরে আর কেউ দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি।
বিকেএসপির হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন ফাহমিদা ছোঁয়া। ২টি করে উইকেট নেন নিশিথা আক্তার ও ফারজানা ইয়াসমিন। ম্যাচসেরা হন সুমাইয়া আক্তার।