রাজশাহী নিউজ টুডে ডেস্ক:
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, শাহিনবাগের মতো কোন পাবলিক প্লেস অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রেখে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিক্ষোভ দেখাতে পারে না। এটা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) আইনের প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলেছিল। সেই প্রেক্ষিতে আইনজীবী অমিত শাহানির করা এক মামলায় বুধবার দেশটির শীর্ষ আদালত একথা জানায়।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল, অনিরুদ্ধ বোস এবং কৃষ্ণা মুরারী’কে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ এদিন জানান, বিরোধিতার একটা সীমা থাকা উচিত। শাহিনবাগ হোক বা অন্যত্র- সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয় বা তাদের অধিকার বিঘ্নিত হয়- এমন কোন পাবলিক প্লেস বা সড়ক আটকে রেখে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান করবেন- আইন অনুযায়ী তা কোনোমতেই কাম্য নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকারকে আমরা সমর্থন করি এবং একটি মনোনীত জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো উচিত। আর তা না হলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উচিত বিক্ষোভকারীদের ওই স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া। এর জন্য আদালতের আদেশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করাটা জরুরি নয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভায় পাশ হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল। রাজ্যসভায় তা পাশ হয় ১১ ডিসেম্বর। ১২ ডিসেম্বর ওই বিলে সাক্ষর করেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। এরপর তা আইনে পরিণত হয়। নতুন ওই আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে অত্যাচারিরত হয়ে আসা অ-মুসলিম (হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি, জৈন) মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করে কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টির মতো রাজনৈতিক দলগুলো। নতুন ওই নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে প্রতিবাদে নেমেছিলেন কয়েক শতাধিক মানুষ। প্রায় ১০০ দিন ধরে জি.ডি.বিড়লা মার্গ সরণীর একটা বিস্তীর্ণ অংশ আটকে রেখে ওই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলেছিল। যদিও করোনার আবহে গত ২৪ মার্চ দিল্লি পুলিশের তরফে ফাঁকা করে দেওয়া হয় শাহিনবাগ চত্ত্বর।
কিন্তু তার আগে শাহিনবাগ থেকে আন্দোলন অন্য কোন জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলতে কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীদেরও নিয়োগ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।