রাজশাহী নিউজ টুডে:
: কতটা নৃশংস, কতটা পাষ-, আর বর্বর হলে এভাবে বিবস্ত্র করে একজন নারীকে নির্যাতন করা যায়? উত্তরটা বোধহয় কারোই জানা নেই। এরা যে পশুর চেয়েও ভয়ানক তারই প্রতিফলন এই বর্বরতা।
রোববার দুপুরে যখন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। এখন সারা দেশে ছি ছি রব! ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক নারী সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় গোংরাচ্ছে ও কাঁদছে। সেইসঙ্গে বলছে-বাবা গো আমাকে ছেড়ে দে। আব্বা গো তোর আল্লাহ’র দোহাই ছাড়ি দে! আশপাশের ২০-২৫ বছরের ছেলে গুলো হায়েনার মতো হাসছে আর বলছে-উল্টা, উল্টা, উল্টা!
কারণ বিবস্ত্র ঐ নারী নিজেকে বাঁচানোর জন্য উপর হয়ে শুয়ে কাঁদছিল আর বলছিল-এরে আব্বা গো, তোগো আল্লাহ’র দোহাইরে। ঘটনাটি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের।
এরিমধ্যে ঘটনার মূল হোতাদের পরিচয় পাওয়া গেছে। এ দিকে বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয় সেজন্য অভিযুক্ত দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে ঘটনাটি এতদিন ধামাচাপা থাকে। বর্তমানে ঐ পরিবারের ঘরে তালাও ঝুলছে।
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং নরপশুদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান নারী ও শিশু অধিকার ফোরামর রাজশাহী মহানগরের আহবায়ক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন ও সদস্যবৃন্দ ।নিন্দায় তারা বলেন, এই সরকারের আমলে একের পর এক নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের ঘটনা
ঘটছে। এগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়ায় নরপশুরা আরো বেপরয়া হয়ে উঠছে। এদের ছোবল থেকে চার বছরের শিশু থেকে বাহাত্তর বছরের বৃদ্ধা নারী কেউ রেহাই পাচ্ছেনা।
কোন আকুতিই তাদের কানে পৌঁছায়না। লাগামছাড়া হয়ে পড়েছে তারা। সরকারী দলের নেতাদের ছত্র ছায়ায় এই ধরনের ঘটনা বেশী ঘটছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
তারা আরো বলেন, এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে। কয়েকদিন তা নিয়ে সড়গোল হচ্ছে। আবার সবগুলো স্বাভাবিক হচ্ছে। এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা সাময়িক সমালোচনা সৃষ্টি করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে বিচার হয় না বা কঠোর কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনাসহ সমসাময়িক নারী ও শিশু ধর্ষনের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান তারা। সেইসাথে আবার এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান নেতৃবৃন্দ।