নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ হোসেন বলেন, মিডিয়া হচ্ছে সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখেন। মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে রাজশাহী জেলা পুলিশ কাজ করবে। পুলিশের কোন সদস্যের মাদক এর সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। থানা হবে জনগণের সেবার প্রাণকেন্দ্র ও জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে যোগদান উপলক্ষে জেলা পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাজশাহী জেলা পুলিশের সদ্য যোগদানকারী পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ হোসেন এসব কথা বলেন।
সভায় এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন হিসাবে যে সকল মাদক আসে বছরে হিসাব প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮০ ভাগ, ৭ থেকে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদক আসত কক্সবাজার হয়ে। এই যে চক্র আছে, যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করত, ব্যবসাটা নিয়ন্ত্রণ করত। আমরা চেষ্টা করেছি। আপনাদের এখানেও আছে। আমরা পেশাদারিত্বের সাথে চেষ্টা করব। আমাদের সকল কাজ হবে পেশাদারিত্বের সাথে, আইনের মাধ্যমে। আইনের মাধ্যমে যেটা করা দরকার আমরা সেটা করব।
তিনি আরো বলেন, আমরা রাজশাহীর আট থানার আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহায়তা চাই। আমরা দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত রাজশাহী গড়তে চাই। সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন তার পরিচয় সন্ত্রাসী। কোন দল, কোন মত আমরা তা চিনি না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো। আর মাদকের ব্যাপারে সরকারের ‘জিরোটলারেন্স’ নীতি আছে। সেটার পরিবর্তন হয়নি। আমরাও মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স নীতিতে কাজ করব।
তবে সিনহা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। এসপি মাসুদ হোসেন বলেন, এটি একচুয়ালি কক্সবাজারের ঘটনা। এটা রাজশাহীর ঘটনা নয়। আর এ বিষয়ে একটা মামলা তদন্তাধীন আছে। এমতাবস্থায় এটা নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। যেহেতু এটা তদন্তাধীন আছে, আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।
মতবিনিময়কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী, সুমন দে, ইফতেখায়ের আলমসহ রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।