নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৮ বছরের নীচে কোন কিশোরী ধর্ষিত হলে পড়াশোনা, চিকিৎসার ভার রাষ্ট্রকে নেওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের পক্ষে সার্বিক মুহাম্মদ শরিফুল হক গ্রহণ করেন।
জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে রাজশাহী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে ধর্ষণ বিরোধী বাইসাইকেল র্যালি সকার ৮টায় নগরীর শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর (গোরহাঙ্গা রেলগেট) থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। বাইসাইকেল র্যালিতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের কাছে ধর্ষণ বিরোধী বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যায়।
পরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানকালে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের আইন পরিবর্তন এবং সংশোধিত আইন প্রণয়ণের দাবি তোলা হয়। এছাড়া ছয় দফা দাবিগুলোর মধ্যে হচ্ছে- ধর্ষণের বিচারের জন্য দ্রুত আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্বে সংঘটিত সকল ধর্ষণ মামলার বিচারের কাজ নিষ্পত্তি করতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে যেকোন ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।
১৮ বছরের নীচে কোন কিশোরী ধর্ষিত হলে তার পড়াশোনা, চিকিৎসাসহ সকল দায় ভার রাষ্ট্রের নিতে হবে। ধর্ষণ মামলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে এবং রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে। ধর্ষণকে জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করতে হবে। কোন ধর্ষণ মামলায় প্রশাসনের কারো স্বজনপ্রীতি, গাফিলতি ধরা পড়লে অথবা টাকা নিয়ে নিষ্পত্তি করতে চাইলে কিংবা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্মারকলিপি প্রদানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী মিনহাজ তৌহিদ, আল রশীদ রাহী, আবদুর রহমান মুন্না ও আবদুর রহিম।