বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিদ্যমান আইনে ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবনের সাজার বিধান আছে। কিন্তু সেটি প্রয়োগ হয়নি। কারণ, বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় গুম, খুন, ধর্ষণ মহামারি রূপ ধারণ করেছে। অধিকাংশ অপরাধী সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পায়। তাদের শাস্তির বিধান দেওয়া দূরের কথা বরং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ফাঁসির আসামিকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। তাই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বৃদ্ধি নিয়ে আইনমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য আইওয়াশ।’
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের সহযোগিতায় অপরাধীরা যা খুশি তাই করার উৎসাহ পাচ্ছে। অপরাধ করে রেহাই পাওয়ার সংস্কৃতির জন্যই দেশে নারী ও শিশুর ওপর নির্যাতন ও সম্ভ্রমহানিসহ অন্যান্য সামাজিক অপরাধগুলো জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম, খুন, ধর্ষণ ও দুর্নীতি করলে পার পাওয়া যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে আটক করে না-এটি যেন দেশের অলিখিত বিধান হয়ে গেছে।’
এ সময় দলের পক্ষ থেকে দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘যারা নারী নির্যাতনকারী এবং নারী সম্ভ্রমহানির সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি বলেই, বিদ্যমান আইনেও যে শাস্তি হয়েছে তার প্রয়োগ হয়নি। তাই আজকে নারী ও শিশু নির্যাতন মহামারী রূপ নিয়েছে।’
উত্তরার বিএনপি মহাসচিবের বাসায় দলের কেউ নয়, দুস্কৃতিকারীরা হামলা করেছে বলে দাবি করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারাদেশে যত অনাচার-অরাজগতা চলছে এর জন্য দায়ী সরকার। আজকে জনগণ যেভাবে ফুঁসে উঠেছে এই দৃষ্টিটাকে অন্য দিকে প্রবাহিত করার জন্য মহাসচিবের বাসায় হামলা করেছে দুস্কৃতিকারীরা। দলের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দুস্কৃতিকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।ঢাকা-১৮ আসনে মনোনয়ন বঞ্চিতরা এই হামলা চালিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।’