রাজশাহী নিউজ টুডে ডেস্ক:
করোনা মহামারীর এ সময়ে মানুষের ইন্টারনেট নির্ভরতা বেড়েছে আগের চেয়ে বহুগুণ। বিশেষ করে লকডাউন শুরুর পর থেকে মানুষ বাধ্য হয়েই ঘর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, শিক্ষা, চিকিৎসা এমনকি বিনোদনসহ যাপিত জীবনের সর্বক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের প্রয়োগ করছে।
এ সময়ে মোবাইলে কথা বলার হার কমলেও বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ। মোবাইল অপারেটরগুলোর এ সময়ে আয়ে দেখা গেছে, ভয়েসের (কথা) চেয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে বেশি।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রেকর্ডসংখ্যক বেড়ে বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার। ঠিক এক মাসে এ সংযোগের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার।
প্রতি মাসেই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশে ইন্টারনেট ও মোবাইলের সক্রিয় সংযোগের হিসাব প্রকাশ করে থাকে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাই মাস শেষে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার। জুন মাস শেষে যা ছিল ৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার।
এ হিসাব থেকে দেখা যায়, দেশে এক মাসে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে ২৯ লাখ ৩৫ হাজার। তবে দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার। অবশিষ্ট ৮৫ লাখ ৭১ হাজার হল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার পাশাপাশি দেশে বেড়েছে মোবাইল সংযোগের সংখ্যাও।
জুলাই মাসে মোবাইল সংযোগ বেড়েছে ৩০ লাখের মতো। আর এতে এখন দেশে মোবাইল সংযোগের পরিমাণ হয়েছে ১৬ কোটি ৪২ লাখ ৮২ হাজার। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি সর্বশেষ ৯০ দিনের মধ্যে সক্রিয় থাকা সিমকে মোবাইল সংযোগ এবং ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহারকে সক্রিয় সংযোগ হিসেবে ধরে থাকে।