রাজশাহী নিউজ টুডে ডেস্ক:
হাঁস-মাছের খামার সাধারণত স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য গড়ে তোলা হয়। তবে এই খামারটি ব্যতিক্রম। এটি গড়ে তুলেছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন। তার ইচ্ছে, খামারে এসে তরুণরা প্রশিক্ষণ নিবে। তার সেই ইচ্ছে সাড়া ফেলেছে। খামারে প্রতিনিয়ত স্থানীয় তরুণরা আসছেন মাছ চাষ, হাঁস পালনসহ কৃষি সম্পর্কে ধারণা নিতে। খামারটির নাম নববাংলা কৃষি খামার।
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পূজকরা গ্রামে খামারটির অবস্থান।
সরেজমিনে দেখা যায়,পাঁচ একর জমিতে খামারটি। কোনে একটি একতলা ভবন। ভবনে হাঁসের খাবার ও শ্রমিকদের আবাস। সামনে হাঁসের খামার। এরপরে তিনটি মাঝারি পুকুর। পুকুরে পাঁচ শতাধিক হাঁস মনের আনন্দে সাঁতার কাটছে। পুকুরের পাড়ে নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। মাঝে আছে বিভিন্ন সবজি। পুকুরের কোনে রয়েছে সেচ পাম্প। বোরো মৌসুমে কম দামে কৃষকদের সেচের পানি সরবরাহ করেন। পাশে কিছু জমিতে ধানের চাষ করেন। এই খামার দেখে এলাকায় আরো পাঁচটি খামার গড়ে উঠেছে ।
স্থানীয় পূজকরা দাখিল মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা আলমগীর হোসাইন বলেন,এই এলাকায় কৃষিবিদ মোসলেহ উদ্দিনের খামার বেশ সাড়া ফেলেছে। তার থেকে পরামর্শ নিয়ে অন্যরাও খামার করছে। ধান-সবজি চাষ হাতে কলমে শিখছে। কৃষির প্রতি শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ব্যক্তি জীবনে হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেছি। আধুনিক কৃষিমনা সংগঠনের মাধ্যমে নগর জীবনের ছাদ বাগানের বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষি বিভাগে চাকুরি করতে গিয়ে দেখেছি, তরুণ প্রজন্মের কৃষির প্রতি নাক সিটকানো ভাব রয়েছে। প্রযুক্তি নির্ভর কৃষির মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য লেখাপড়া জানা তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের উদ্বুদ্ধ করতে খামারটি গড়ে তুলেছি। তরুণদের বেশ সাড়া পাচ্ছি। তারা কৃষির বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে। তারা চাকরির পেছনে না ঘুরে কৃষির মাধ্যমে স্বাবলম্বী হলে দেশ এগিয়ে যাবে। এই খামারে বাবা,স্ত্রীর, নিজের সঞ্চয় ও পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা রয়েছে। সামনে ডেইরি ফার্ম করার পরিকল্পনা রয়েছে।