সোমবার ৫ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
‘পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডগুলোতেও পূর্ণ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নির্শ্চিত করতে আরেকবার সুযোগ দিন’: লিটন সবচেয়ে বড় বাজেট দিয়েছি, তা বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: প্রধানমন্ত্রী বড় ডিসপ্লে নিয়ে আসছে মটোরোলার ফোল্ডেবল ফোন বেসরকারি নতুন ব্যাংকে চাকরি, বয়স ৪০ পেরোলেও আবেদনের সুযোগ বৃষ্টিতে ভেসে গেলো সোনার খনি, মৃত্যু ১২ নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারে সম্মত জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া দুর্গাপুরে গভীর রাতে পানবরজে আগুন দুইটি বরজের ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি বাগমারায় নরদাশ ইউনিয়নে গ্রামীণ সড়ক সিসি করণের উদ্বোধন লিটনের উন্নয়নচিত্র স্বাস্থ্যখাতে রাজশাহী সিটির প্রশংসনীয় অর্জন তীব্র দাবদাহের কারণে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে চিরতা

নিউজটি শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক:

চিরতা গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রোগ নিরাময়ে চিরতার সমস্ত গাছই ব্যবহার করা হয়। তবে এর শিকড় সবচেয়ে বেশি কার্যকর। চিরতা চর্ম রোগ ও জ্বর সারাতে এক ওস্তাদ গাছ। এছাড়াও হেপাটাইটিস, ডায়াবেটিস, ম্যালেরিয়া জ্বর, অ্যাজমা প্রভৃতি কঠিন অসুখের চিকিৎসাতেও চিরতা ব্যবহার করা হয়।

নিচে চিরতার উল্লেখযোগ্য কিছু ভেষজ গুণ ও ব্যবহার সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো-

অ্যালার্জি সারায়
যাদের এলার্জি হয়ে শরীর চুলকায়, চুলকানোর জায়গাটা ফুলে লাল হয়ে যায়, ত্বক থাকা থাকা হয়ে ওঠে। তারা চিরতার শরণাপন্ন হয়ে ভালো থাকতে পারেন। অ্যালার্জি সারাতে চিরতার তিতা রস সাহায্য করতে পারে। আগের দিন রাতে শুকনো চিরতা ৪-৫ গ্রাম পরিমাণ এক গ্লাস (২৫০ মিলিলিটার) গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন ওটা ছেঁকে দিনের মধ্যে ২-৩ বারে খেতে হবে। সেই সাথে খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। যেসব খাবার খেলে অ্যালার্জি হয় সেসব খাবার খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে পুঁইশাক, বেগুন, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ, হাঁসের ডিম ইত্যাদি খাওয়া উচিত হবে না।
প্রবল হাঁপানির উপশম হয়
একজিমার সাথে যাদের হাঁপানি আছে অথবা অর্শের রক্ত পড়াব বন্ধ হওয়ায় হাঁপানি বেড়ে গেছে, অল্প ঠাণ্ডা লাগলে বা ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশি হয়ে হাঁপানির টানটা বেড়ে গেছে তারা আধা গ্রাম চিরতার গুঁড়ো ৩ ঘণ্টা অন্তর মধুসহ চেটে খাবেন। এতে ২-৩ দিনের মধ্যে প্রবল হাঁপানি কমে যাবে।

 

কৃমি সারায়
কৃমি হলে পেটের উপরের অংশটা মোচড়ায়, ব্যথা করে। পেটে কৃমি হলে আধা গ্রাম চিরতার গুঁড়ো সকালে মধুসহ বা চিনি মিশিয়ে চেটে খাবেন। এরপর পানি খেতে পারেন। এতে কৃমির উপদ্রব চলে যাবে।

চুলকানি সারায়
গায়ে চুলকানি হলে ২০ গ্রাম চিরতাতে অল্প পানি ছিটিয়ে বেঁটে বা ছেঁচে নিতে হবে। তারপর তা লোহার কড়াই বা তাওয়াতে ১০০ গ্রাম সরষের তেল দিয়ে জ্বাল দিয়ে হবে। সরষের তেল গরম হয়ে ফেনামুক্ত হলে তাতে চিরতা ছাড়তে হবে। ভালো করে ভাজা হলে নামিয়ে ছাঁকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে চিরতা যেন পুড়ে না যায়। এই তেল চুলকানোর জায়গায় ঘষে অল্প অল্প করে মালিশ করলে দ্রুত চুলকানি সেরে যাবে।

চুল ওঠা বন্ধ করে
কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না, অথচ রোজ মাথা থেকে প্রচুর চুল উঠছে। চুল উঠতে উঠতে ঘন কেশ পাতলা হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আগের দিন রাতে এক কাপ গরম পানিতে ৫ গ্রাম চিরতা ভিজিয়ে রেখে পরদিন সেই পানি ছেঁকে তা দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেললে চুল ওঠা কমবে। একদিন পর পর একদিন এভাবে চিরতার পানি দিয়ে মাথা ধুতে হবে। ৩-৪ বার এভাবে ধুতে পারলে চুল ওঠা অনেক কমে যাবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
চিরতা নিয়মিতভাবে খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে বা কমে। চিরতা দেহে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে। এক্ষেত্রে আগের দিন রাতে শুকনো চিরতা ৪-৫ গ্রাম পরিমাণ এক গ্লাস (২৫০ মিলিলিটার) গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন ওটা ছেঁকে সকালে খালি পেটে খেতে হবে।

রক্তশূণ্যতা কমায়
চিরতা দেহে রক্তকোষ গঠন করে। তাই চিরতা সেবনে রক্তশূন্যতা কমে যায়। এমনকি ঋতুস্রাব বা মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তাও কমাতে পারে। কোথাও কেটে গেলে সে কাটা স্থানে চিরতার রস লাগিয়ে দিলে দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ হয়। অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণ, নাক দিয়ে রক্তপড়া এসবও চিরতা বন্ধ করতে পারে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
চিরতার মধ্যে শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা বার্ধক্যকে বিলম্বিত করে দিতে পারে। এমনকি নিয়মিত চিরতা সেবনে ক্যানসার ও হৃদরোগে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

পৃথিবীতে ফিরলেন মার্কিন-সৌদি নভোচারীরা

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনঅনলাইন বেসরকারি মহাকাশযান ‘ক্রু ড্রাগন’-এ চড়ে দুই মার্কিন ও দুই সৌদি নভোচারীর একটি দল মেক্সিকো উপসাগরে নিরাপদে অবতরণ করেছেন। ৮ দিন মহাকাশে অবস্থানের

সবসময় ক্লান্ত লাগার ৮ কারণ

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনঅনলাইন ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত সারাক্ষণই ক্লান্ত লাগে অনেকের। সবসময়ই এক ধরনের ঘুম ঘুম ভাব হয়

স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক মেডিটেশন ছড়িয়ে যাক সর্বত্র

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন  বর্তমান বিশ্বে সংক্রামক ব্যাধির চেয়ে অসংক্রামক ব্যাধির প্রকোপই বেশি। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, স্থূলতা, বিষণ্ণতা, অনিদ্রা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, স্ট্রেস ইত্যাদির ফলে

দেশে প্রতি চারজনে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুনঅনলাইন দেশে প্রতি চারজনে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ২০২২ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এক সমীক্ষায়

বাতব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন অনলাইন সাধারণভাবে মানুষের মধ্যে প্রথাগত ধারণা রয়েছে যে, শুধু গিটে ব্যথাই বোধকরি বাতব্যথার একমাত্র লক্ষণ এবং আরেকটি বদ্ধমূল ধারণা এই বাতরোগ এটি

‘স্বাস্থ্যসেবায় মেডিটেশন অন্তর্ভুক্তি কমাবে চিকিৎসা ব্যয়’

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন    দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা শুক্রবার এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবায় মেডিটেশন অন্তর্ভুক্ত করা হলে জনগণের চিকিৎসা ব্যয় অনেক কমে আসবে। অসংক্রামক বিভিন্ন

%d bloggers like this: