অনলাইন ডেস্ক
আলীরাজ। বরেণ্য অভিনেতা। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তিন যুগ পর বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘পিছুটান’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি। জাহিদ হাসান পরিচালিত এ নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-
টিভিতে আপনাকে খুব একটা পাওয়া যায় না। ‘পিছুটান’ ধারাবাহিকে আগ্রহী হলেন কেন?
এখন মনের মতো গল্প পাই না বলেই টিভি নাটকে আমার সেভাবে দেখা মেলে না। নির্মাতা ও অভিনেতা জাহিদ হাসানের কাছ থেকে যখন ‘পিছুটান’ নাটকের গল্পটি শুনলাম, তখনই মনে হয়েছে, কাজটি করা যেতে পারে। পাশাপাশি এই নাটকের নির্মাতা, চিত্রগ্রাহক থেকে শুরু করে সবাই আমার খুব কাছের মানুষ। তাছাড়া বিটিভির প্রতি আমার দূবর্লতা সব সময় ছিল। কারণ বিটিভির নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই আমার অভিনয় শুরু হয়েছিল। সেই সময় আমার নাম ছিল ডব্লিউ আনোয়ার। চলচ্চিত্রে এসে আমার নাম হয় আলীরাজ।
‘পিছুটান’ নাটকে কাজের অভিজ্ঞতা …
একটি গোছানো পরিবেশে কাজ সবারই ভালো লাগে। এই নাটকের পরিচালক জাহিদ হাসান যেমন মজার মানুষ, ঠিক তেমনি তার পুরো ইউনিটটি গোছাল। সঙ্গত কারণে কাজটি করে ভালো লেগেছে। আর প্রায় ৩৬ বছর পর বিটিভির নাটকে অভিনয় করছি। কাজটি করতে গিয়ে বারবারই মনে হয়েছে নিজের ঘরে ফিরেছি। বিটিভির ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে পড়ছিল বারবার।

আপনি নায়ক চরিত্রে অভিনয় থেকে সরে এসে এক সময় হুট করে সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় শুরু করেছেন। এর কারণ কী?
যখন নায়ক হিসেবে অভিনয় করতাম তখন একটা বৃত্তের মধ্যেই আবদ্ধ ছিলাম। কিন্তু এতে সমাজের সব চরিত্রের সঙ্গে আমার পরিচয় হতো না। কিন্তু যখন সেই বৃত্ত থেকে রেরিয়ে এলাম, তখন সব ধরনের চরিত্রের সঙ্গে প্রতিনিয়ত পরিচয় হচ্ছে। আমি মনে করি, একজন অভিনেতার সব চরিত্রে অভিনয় করা প্রয়োজন।
আপনার ছেলে শরণ রাজও অভিনয়ে এসেছে। সেটা কি আপনার উৎসাহে?
আমার ইচ্ছা ছেলেকে সিনেমার নায়ক হিসেবে দেখার। আর আমার ইচ্ছার কারণেই ও অভিনয় শুরু করেছে। আমি চাই শরণ নিজেকে একজন ভালো অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুক। টিভি নাটকে অভিনয় করে নিজেকে তৈরি করে তার পর সিনেমায় অভিনয় করবে।
চলচ্চিত্রের এই সময়কে কীভাবে দেখছেন?
কয়েক বছর ধরে এমনিতেই চলচ্চিত্রের অবস্থা খারাপ যাচ্ছিল। এরপর করোনা আরও বিপাকে ফেলেছে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িতদের দুর্দিন যাচ্ছে। এ রকম অবস্থার মধ্যে সরকার চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে নতুন করে ভাবছে। অর্থও বরাদ্দ করেছে। আমি মনে করি, সেই অর্থ যথাযথ ব্যবহার হলে আবারও ঘুরে দাঁড়াবে চলচ্চিত্র শিল্প। একটু অপেক্ষা করে চলচ্চিত্রের সুদিনের জন্য আমরা আশার জাল বুনতেই পারি।