রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে বেড খালি থাকা সত্বেও পরিচালকের অনুমতি না থাকায় রাবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে মারা যায় ওই শিক্ষার্থী। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রোগী ছিলেন। মৃত মামুন মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আলসার ও জন্ডিসে ভুগছিলেন।
জন্ডিসের কারণে সম্প্রতি তার কিডনি ‘বিকল’ হয়ে যায় বলে জানান তার সহপাঠী ও বিভাগের সভাপতি।
রাজশাহীর নওহাটা এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। রাজশাহী মহানগরের লোকনাথ স্কুল মার্কেটের কাছে ‘তন্নী ছাত্রাবাসে’ তিনি থাকতেন বলে তার এক সহপাঠী জানান।
সহপাঠী ঈসমাইল হোসেন জনি জানান, ভোর রাত ৪টার দিকে আব্দুল্লাহ আল মামুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ-এর প্রয়োজন পড়ে। তারা আইসিইউ’র জন্য যোগাযোগ করলে একটি সিট ফাঁকা আছে বলে জানানো হয়। এই সিট পেতে হলে হাসপাতালের পরিচালকের (ডাইরেক্টর) লিখিত অনুমতি লাগবে বলে দায়িত্বরতরা জানান।
তিনি আরও জানান, সিট পেতে হাসপাতাল পরিচালককে রাতে ফোন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে তিনি ফোন ধরেননি। পরে বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালে আইসিইউ’র ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু এরই মধ্যে মারা যান মামুন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, মামুনের বাবা ও তার তিনজন সহপাঠী আমার কাছে এসেছিলেন। হাসপাতালে আইসিইউর ব্যবস্থা করতে আমার সহযোগিতা লাগবে বলে জানিয়েছিলেন তারা। রাত ৪টার দিকে আমাকে এক ছাত্র সেসেজ করে আইসিইউর জন্য সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানান। ঘুমিয়ে থাকায় তখন তাদের মেসেজের সাড়া দিতে পারিনি। পরে যোগাযোগ করা হলেও আইসিইউ পাওয়ার আগেই ওই শিক্ষার্থী মারা যান।
তিনি আরও বলেন, বাঁচানোর মালিক আল্লাহ। তিনি যদি আইসিইউ পেতেন তাহলে চিকিৎসাটা আরো ভালো হতো। এমন দুঃসংবাদ আসতো কি-না সেটা জানি না।
জানতে চাইলে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি ।