সুমন শান্ত নিজস্ব প্রতিবেদক,
আজ ২৬ জুন ২০২২ রবিবার ১নং গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত এবং এসিডি’র সহযোগিতায় গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের শিশুবিবাহ প্রতিরোধে বরাদ্দকৃত অর্থ বাস্তবায়নে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম টিপু। বাজেট পরবর্তী এ সভায় এসিডি’র প্রোগাম অফিসার মোঃ এনামুল হক শুভেচ্ছা বক্তব্য, বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের সার্বিক পরিস্থিতি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের অবস্থা তুলে ধরেন। তিনি এ পরিস্থিতি হতে উত্তরণের জন্য এবং বাল্য বিবাহ রোধে ইউপি বাজেটে সুনির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ রাখা এবং তার যথাযথ বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসিডি’র কিশোর কিশোরী দলের সদস্য হুমাইরা ইসলাম বলেন, এলাকায় শিশু বিবাহ প্রতিরোধে তারা কাজ করে যাচ্ছে। ২ নং গোবরাতলা ইউনিয়নের ঘুঘুডিমা ও মহিপুরে তাদের কিশোর কিশোরী দল সক্রিয় রয়েছে। তারা
যেকোন স্থানে বাল্য বিবাহের কোন খবর পেলে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে সেই বিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করে। এছাড়াও কিশোর কিশোরী দলের সদস্যরা এলাকার অভিভাবকদের মধ্যে শিশু বিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন, উঠান বৈঠক ইত্যাদি পরিচালনা করে থাকে।
ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে শিশু বিবাহ প্রতিরোধে বরাদ্দ রাখবার জন্য কিশোর কিশোরী দলের
সদস্যদের ইউনিয়ন পরিষদের সাথে যোগাযোগ এবং আবেদনপত্র প্রদানের প্রেক্ষিতে গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে শিশু বিবাহ প্রতিরোধে মোট ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর জন্য তিনি কিশোর কিশোর কিশোরী দলের পক্ষ থেকে বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে শিশু বিবাহ প্রতিরোধে উক্ত বরাদ্দকৃত অর্থ কিভাবে ব্যায় করা হবে সেই সম্পর্কে জানাতে অনুরোধ করেন।
সভাপতি এবং গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব রবিউল ইসলাম টিপু বলেন, গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে শিশু বিবাহ প্রতিরোধে মোট ১,০০,০০০/- (এক লাখ) টাকা অর্থ কিভাবে ব্যায় করা হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি জানান, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যায় করবার সময় তারা এসিডির কিশোর কিশোরী দলের সদস্যদের সম্পৃক্ত করবেন। তিনি উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, বাল্য বিবাহ একজন শিশুর জীবন নষ্ট করে দেয়। তার শারিরীক ও মানষিক স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। এছারাও বাল্য বিবাহের ফলে এক সময় তালাক হয়ে যায় যার ফলে আমাদের সন্তানের জীবন ধ্বংস হয়ে যায়।
সভাটি এসিডি’র উপজেলা কো-অর্ডিনেটর রুপম কুমার দেবের সঞ্চালনায় পরিচালিত হয়। সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গোবরাতলা ইউনিয়নের মেম্বারগণ, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারগণ, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় জনসাধারণ।