নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্বাচনের সময় কথা ছিলো উন্নয়নের। সেই কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে দীর্ঘ পরিশ্রমে। উন্নত হয়েছে পৌর এলাকা। এমনসব কথা রাজশাহীির বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরবাসীর মুখে।
পৌরবাসীরা বলছে, পৌর মেয়র মুক্তার আলী নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন উন্নয়নের। তার ধারাবাহিকতায় পৌর এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। হয়েছে রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন। পৌর এলাকায় লেগেছে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া।
পৌর এলাকার নয়ন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মেয়র মুক্তার মানুষটির মন পরিষ্কার। যারা সৎ পথে চলেন সত্যি কথা বলেন তারা সবকিছু কথার মূল্যায়ন থাকে। এমন সৎ মানুষ আবারও আড়ানী পৌরসভায় দরকার। মুক্তার মেয়র হওয়ার পরে একটা কথা বলেছিলেন আমার পৌরভবন হবে ডিজিটাল। যেখানে থাকবে কম্পিউটার ব্যবস্থা, যেন কোন মানুষ সেবা নিতে এসে বিরক্ত না হয়। ঠিক তাই হয়েছে। উন্নত হয়েছে পৌরভবন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন মুক্তার আলী। মেয়র মুক্তার আলী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এর আগে তিনি কয়েকবার আড়ানী পৌর কাউন্সিলর ও ১বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।
মেয়র মুক্তিার মেয়র হওয়ার পরে ডিজিটালাইজেশন হয়েছে পৌরভবন। এখন এক ঘন্টার কাজ পাঁচ মিনিটে হয়। পৌরভবনের প্রতিটি দপ্তরে ইন্টারনেট ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশ যখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে তারই ধারাবাহিকতায় বদলে যাচ্ছে বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভা।
এছাড়া এলাকার মধ্যে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে নিজ অর্থায়নে কম্পিউটার প্রদান করেছেন। বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আড়ানী থেকে ১২ কিলোমিটারের দূরত্ব হওয়ায় আড়ানী পৌরসভাতে মা ও শিশুদের সু-চিকিৎসার জন্য ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সফল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলমের একক প্রচেষ্টায় ও মেয়র মুক্তারের সহায়তায় নির্মীত হয়েছে।
আড়ানী পৌর সভার মেয়র মুক্তার আলী বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিলো এলাকার উন্নয়ন করা। তা করেছি। এলাকাবাসির সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়েছে। এই এলাকাবাসীকে নিয়ে করোনাকালীন সময়ে এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। আগামিতে এই পৌরবাসী আমাকে নির্বাচিত করলে সাধারণ মানুষদের নিয়ে কাজ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এলাকার উন্নয়নে আরও কাজ বাকি আছে। সেই কাজগুলো সম্পন্ন করতে চাই। তাই পৌরবাসীর সহায়তা কামনা করছি।