অনলাইন ডেস্ক:
চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষায় থাকা কোভিড-১৯-এর একটি টিকা আগামী বছরের শুরুর দিকে জনগণের ব্যাপক ব্যবহারের জন্য পাওয়া যেতে পারে। চীনের ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম সিনোভ্যাক বায়োটেকের প্রেসিডেন্ট ইয়িন ওয়েডং গতকাল বৃহস্পতিবার স্পেনের সংবাদ সংস্থা ইএফইকে এ কথা বলেন।
ইয়িন বলেছেন, বেইজিংয়ে তাঁর কোম্পানির তৈরি করোনাভ্যাক নামের টিকাটি বছরে ৩০ কোটি ডোজ তৈরির সক্ষমতা রয়েছে।
সিনোভ্যাক গত মার্চ মাসে বেইজিংয়ে বিশেষায়িত কোভিড-১৯ ল্যাব স্থাপন শুরু করে। কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনার সম্ভাব্য টিকা উৎপাদনে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
সিনোভ্যাকের তৈরি করা টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বাংলাদেশে করার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
ইয়িন দাবি করেছেন, টিকা দেওয়ার সাতটি পৃথক পদ্ধতি বের করেছেন গবেষকেরা। তাঁদের ‘ইনঅ্যাকটিভেটেড টিকা’ অধিক কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বিশ্বের সব ধরনের সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী সক্ষমতা দেখিয়েছে এই টিকা।
করোনাভ্যাক টিকাটি ব্রাজিল, তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়ায় পরীক্ষা চলছে। সিনোভ্যাকের তৈরি করা টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বাংলাদেশে করার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
ইয়িন বলেন, চীনে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে থাকায় দেশটির বাইরে তার পরীক্ষা করা ভালো। তা না হলে তার কার্যকারিতা প্রমাণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাঁরা আরও দেশে করোনার টিকাটি পরীক্ষার কথা ভাবছেন।